ভিডিও

বগুড়ায় ভাই ও মামাকে ছুরিকাহত করার প্রতিশোধ নিতেই শান্তকে হত্যা করা হয়

প্রকাশিত: মার্চ ০৮, ২০২৪, ১০:৫৬ রাত
আপডেট: মার্চ ০৯, ২০২৪, ০১:৪০ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় আলোচিত ইন্টারনেট ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম শান্ত হত্যা মামলায় রাতুল নামে আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-১২, বগুড়ার একটি দল শহরের চেলোপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রাতুল স্বীকার করেছে যে, ভাই ও মামাকে ছুরিকাঘাত করার প্রতিশোধ নিতেই শান্তকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত রাতুল (২২) শহরের মালতিনগর দক্ষিণপাড়ার মোঃ আব্দুল হান্নানের ছেলে।
র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন জানান, আসামি রাতুলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,তারা তিন ভাই।

তার ভাইদের সাথে শান্ত’র পূর্বশত্রুতা ছিল। কিছুদিন আগে তার এক ভাই ও মামাকে শান্ত’র লোকজন ছুরিকাঘাত করেছিল। মূলত এর প্রতিশোধ নিতেই তার ভাই ও ভাইয়ের বন্ধু-বান্ধব মিলে শান্তকে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত রাতুলকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

গত ২ মার্চ বিকেলে শহরের চক ফরিদ এলাকায় এতিমখানা রোডে মোস্তফা লজ এর সামনে দুর্বৃত্তরা শান্তকে উপর্যুপরী ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। শান্ত সারিয়াকান্দি উপজেলার কুপতলা শাহাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

তবে পরিবার নিয়ে শান্ত শাজাহানপুর উপজেলার ফুলদিঘী পূর্ব পাড়ায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। ছেলে হত্যার ঘটনায় তার মা রাবেয়া খাতুন সদর থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন,তার ছেলে আজহারুল ইসলাম শান্ত (২৪) গাবতলী সৈয়দ আহম্মেদ কলেজে ডিগ্রী প্রথম বর্ষে লেখা পড়ার পাশাপাশি ইন্টারনেটের কাজ করতেন।

গত ২ মার্চ বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে তার ছেলে শহরের চকফরিদ মহল্লার এতিম খানা রোডের মোস্তফা লজ এর সামনে গেলে আসামিরা তাকে উপর্যুপরী ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এরপর আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে র‌্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্প গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এক পর্যায়ে র‌্যাব রাতুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এদিকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে ডিবি ও সদর থানা পুলিশের একটি যৌথ টিম শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হিরা নামে আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করে।

হিরা শান্ত হত্যা মামলার চার নম্বর আসামি। সে শহরের মালতিনগর দক্ষিণপাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শহরের বনানী ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS